Confidential Email Gmail বলতে বুঝায় গোপন ইমেইল। যা কি আপনি যার কাছে পাঠাবেন সে ব্যতীত অন্য কেউ দেখতে পারবে না।
Confidential Email Gmail বলার কারন হচ্ছে গুগল তাদের ইমেইল সার্ভিসে এই ফিচার্সটি বেশ কয়েকদিন আগেই নিয়ে এসেছিলো।
এটি ব্যবহার করে আপনি গোপন ভাবে ইমেইল করতে পারবেন। এখানে শুধু মাত্র জিমেইল এর ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে। অন্যান্য ইমেইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে এই ফাংশন ভিন্ন হতে পারে।
এর উপকার এবং ব্যবহার নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে;
- কেনো Confidential Email দরকার?
- কিভাবে Confidential Email পাঠানো যায়?
- কিভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে ইমেইল?
- কিভাবে Confidential Email Gmail এর পর্যালোচনা।
Confidential Email Gmail কেনো দরকার?
মনে করুন, আপনার বন্ধু কে আপনি এমন একটি ইমেইল পাঠাবেন যা সে ব্যতীত অন্য কেউ যেনো দেখতে না পারে। এমনকি অন্য কাউকে যেনো সে ইমেইল টা ফরওয়ার্ড করতে না পারে।
ফলে আপনার লাগবে একটি Confidential Email Mode যা দিয়ে আপনি আপনার বন্ধুকে এমন মেইল করতে পারবেন। যে শুধু মাত্র পড়া ব্যতীত অন্য কোনো কিছু করতে পারবে না।
এসব বিষয় নিয়ে নিচে আরো বিস্তারিত লিখা হয়েছে।
আবার এসএমএস পাসকোড দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে আপনার ইমেইল টা আপনি যাকে পাঠাতে চান সেই দেখার সুযোগ পাবে।
ফলে আপনার ইমেইল থাকবে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। কারন কেউ চাইলেও আপনার ইমেইল প্রিন্ট, ডাউনলোড বা ফরওয়ার্ড করতে পারবে না।
ঘরে বসে Cashbaba E Wallet উপভোগ করুন!
কিভাবে পাঠাবেন Confidential Email Gmail এ?
আপনি আপনার ইমেইল পেজটি ওপেন করে বরাবরের মতই “Compose” এ ক্লিক করুন এবং সেখানে আপনার যা ইমেইল করার দরকার সেটি পূরন করুন।
লাল তীর চিহ্নিত অংশে ক্লিক করুন।
এখানে আপনি আপনার যাবতীয় সকল কিছুই আপলোড করতে পারবেন। যেমনঃ কোনো ফাইল, ইমেইজ, ভিডিও ইত্যাদি। এসব কিছুই Confidential থাকবে।
এখানে আপনি একটি পপআপ মেসেজ দেখতে পাবেন। এবং কিছু অপশন দেখতে পাবেন যা দিয়ে আপনি ইমেইল এর মেয়াদ নির্ধারন করতে পারবেন।
আপনি সর্বনিম্ন ১ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদ রাখতে পারবেন।
এর নিচে আপনি এসএমএস পাসকোড দেওয়ার অপশন রয়েছে। তবে সেটি এখনো বাংলাদেশ সাপোর্টেড না।
এসএমএস পাসকোড না দিলেও সে যখন ইমেইলটি দেখতে যাবে তার ইমেইলে ভেরিফিকেশন কোড আসবে এবং সেটি দিয়েই ইমেইলটি দেখতে হবে। নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Expiration Date নির্বাচন করে Send এ ক্লিক করুন।
যদি আপনি Confidential Mode এ SMS Passcode থাকেন তাহলে পরবর্তী ধাপে একটি পপআপ আসবে।
আর যদি No SMS Passcode নির্বাচন করে থাকেন তাহলে কোনো পপআপ আসবে না।
(SMS Passcode Not Available in BD)
যেহেতু আপনি এসএমএস পাসকোড দিয়েছিলেন তাই এই অপশন টি দেখাচ্ছে। তবে এসএমএস পাসকোড না দিলে এটি দেখাবে না।
এখানে আপনি যাকে ইমেইলটি পাঠাবেন তার নাম্বার লিখুন। (বাংলাদেশি নাম্বার দেওয়া যাবে না।
Send এ ক্লিক করুন তাহলে আপনার ইমেইলটি তার কাছে চলে যাবে।
Confidential Email Gmail কিভাবে চেক করা যাবে?
আগেই বলেছি এটি একটি গোপন ইমেইল। ফলে চাইলেই কেউ এটাকে সহজেই দেখতে পারবে না।
সাধারনত আমরা একটা মেইলে ক্লিক না করেও কিছু টা আন্তাজ করতে পারি প্রিভিউ দেখে।
কিন্তু Confidential Email Gmail এর মাধ্যমে পাঠানো হলে সেটা প্রিভিউ তে দেখা যায় না। বুঝার সুবিধার্তে নিচে ছবি দেওয়া হলোঃ
সাধারন ইমেইল গুলো ওপেন না করেও আমরা জানতে পারি কিছুটা হলেও। কিন্তু Confidential Mail এর ক্ষেত্রে করা সম্ভব নয়। ফলে আপনাকে ইমেইল টা ভেরিফাই করেই দেখতে হবে।
যখন আপনি ইমেইলটা তে ক্লিক করবেন দেখার জন্য। তখন আপনাকে পাশের মেইলটি দেখাবে। এর কারন হচ্ছে ইমেইলটি লক অবস্থায় রয়েছে। ফলে আপনাকে সেই লক ওপেন করেই ইমেইল টি দেখতে হবে।
“View the email” এ ক্লিক করুন।
যদি SMS Passcode দিয়ে থাকেনঃ
ধরে নিচ্ছি আপনি এসএমএস পাসকোড নিয়েছিলেন। যেই নাম্বারটি দিয়েছিলেন, এই ধাপে সেই নাম্বারে পাসকোড পাঠানোর জন্য বলে হবে।
যদি No SMS Passcode দিয়ে থাকেনঃ
যদি কোনো এসএমএস পাসকোড না দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেই ইমেইল অ্যাড্রেসে ইমেইল করেছেন। সেই ইমেইল এ পাসকোড যাবে।
পাসকোড দিয়ে ইমেইলটি দেখতে হবে। তবে বাংলাদেশের জন্য এখনো এসএমএস পাসকোড অপশন চালু হয় নি।
এভাবেই দেখতে পারবেন বা পাঠাতে পারবেন Confidential Email Gmail এর মাধ্যমে।
Confidential Email Gmail কি আসলেই স্বয়ংক্রীয়ভাবে মুছে যাবে?
গোপন ভাবে ইমেইল পাঠালে সেটার মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে গেলে ইমেইলটি মুছে যাবে কোনো কিছু করা ছাড়াই।
আপনি একটা ইমেইল কে সর্বনিম্ন একদিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদ দিয়ে পাঠাতে পারবেন। আর সেটি নির্দিষ্ট সময় পর মুছে যাবে।
Confidential Email Gmail নিয়ে FAQs:
আশা করছি আপনার একটু হলেও উপকারে আসছে এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে। যদি ভালো লাগে এবং বন্ধুদের জানাতে চান, তাহলে নিচের শেয়ার বাটন থেকে শেয়ার করে ফেলুন।
ধন্যবাদ।